,

রোহিঙ্গা শিবিরে আরসার তৎপরতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে: স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক!

শাকুর মাহমুদ চৌধুরী, কক্সবাজারঃ

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় অবস্থিত রোহিঙ্গা শিবিরে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) সদস্যদের তৎপরতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা গেছে। এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই শিবিরে থাকা রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

বিশেষ সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আরসার সদস্যরা শিবিরে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। তারা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যা শিবিরের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে। আরসার সদস্যরা শিবিরে অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ ও নতুন সদস্য সংগ্রহের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই তৎপরতা শিবিরের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শিবিরের ভেতরে আরসার সক্রিয়তার কারণে শিবিরের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। অনেকেই নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। শিবিরের পরিবেশ ক্রমেই অশান্ত হয়ে উঠছে, যা স্থানীয়দের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলছে। শিবিরে বসবাসরত রোহিঙ্গারা এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করছেন এবং তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন।

এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসনকে আরো সক্রিয় ও কার্যকর হতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এই বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। রোহিঙ্গা শিবিরে আরসার তৎপরতা বন্ধ করতে প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, আমরা অনেক দিন ধরেই শিবিরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। আরসার তৎপরতা আমাদের আতঙ্কিত করে তুলছে। আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি, শিবিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত ব্যবস্থা নিন।

শিবিরে আরসার তৎপরতা রোধে শিবিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরো জোরদার করতে হবে। প্রশাসনকে নিয়মিত শিবির পরিদর্শন ও নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। শিবিরের বাসিন্দাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে তাদের উদ্বেগ ও সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া, শিবিরের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও এনজিওদের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে।

উখিয়া’র রোহিঙ্গা শিবিরে আরসার তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনের দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন। শিবিরের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে দায়িত্বশীল ও সতর্ক হতে হবে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category